বারমাসী সবজি চাষি আবুসাঈদ
বারমাসী শাকসবজি চাষ করে নিজের ভাগ্য পাল্টানোর পাশাপাশিগাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মাও. মোঃ আবু সাঈদ পুরো গ্রামে এনেছেন একবৈপ¬বিকপরিবর্তনবছর জুড়ে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করে কৃষির সাথেসংশি¬ষ্টলোকজন ছাড়াও সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছেন তিনিউপজেলায় মোট উৎপাদিতশাকসবজির উলে¬খযোগ্য একটা অংশউৎপাদনকরেন আবুসাঈদ
 
বছরের এমন কোন দিন নেই যে দিন তার সবজি বাগান থেকে কমপক্ষে ১মেট্রিকটন শাকসবজি বিভিন্ন আড়তে পাঠানো হয় নাতিনি বারমাসী চাষি নামেও এলাকায় পরিচিত লাভকরেছেনবছর তিনি উন্নতজাতের টমেটো উৎপাদনকরেছেন প্রায় ১শ বিশমেট্রিকটন, বাঁধাকপি উৎপাদিতহয়েছে প্রায় ১ লক্ষএবং ফুলকপি ৫০ হাজার টিমাত্র ২/৩ বিঘা পতিত পৈত্রিক জমিতে তিনি ১ যুগ আগে শাকসবজিরচাষাবাদ শুরু করেনবর্তমানে ওই এলাকায় অন্যের পতিত জমি লিজ নিয়ে শাকসবজিচাষাবাদের জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০/৩৫ বিঘায়এমন কোন শাকসবজি নেই যা তিনি চাষাবাদ করেননাযেমনÑ শীত লাউ, মিষ্টি কুমড়া, শশা, পেঁপে, চিচিঙ্গা, পটল, টমেটো, করলা, শিম, ডাঁটা, পুঁইশাক, লাল শাক, পালংশাক, ঢেঁড়শ, কলাসহ হরেক রকমের শাকসবজিপ্রতি দিন তাঁর সবজিবাগানে ২০/২৫ জন নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করেনসফল কৃষক মাও. মোঃ আবু সাঈদের কাছ থেকে নিজগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর শতাধিক কৃষক হাতে-কলমে শিক্ষা নিয়েছেন এবং কৃষিক্ষেত্রে পেয়েছেন সফলতা
 
১৯৯৬ সালে কৃষক পিতার কাছে শিক্ষা নিয়ে শুরু করেন কৃষিকাজসেই যেতাঁর পথ চলা শুরুআর ফিরে তাকাতে হয়নিকঠোর পরিশ্রম, সততা আর কর্মনিষ্ঠাইতাঁকে এনে দিয়েছে এ সফলতাশুধু শাকসবজি বিক্রি করে আবু সাঈদের বাৎসরিকআয় ৭/৮ লাখ টাকাতিনি বহু লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকরেছেনএলাকার বেকার যুবকরা তাঁর কথা ও কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে কৃষিরপ্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেদূর হচ্ছে বেকারত্ব
 
-ইজাজ আহমেদমিলন, গাজীপুর