বারমাসী সবজি চাষি আবুসাঈদ
Posted by Nurjahan Chowdhury on Saturday, January 2, 2010
Under: সফলতা,স্বাবলম্বী
বারমাসী সবজি চাষি আবুসাঈদ
বারমাসী শাকসবজি চাষ করে নিজের ভাগ্য পাল্টানোর পাশাপাশিগাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মাও. মোঃ আবু সাঈদ পুরো গ্রামে এনেছেন একবৈপ¬বিকপরিবর্তন।বছর জুড়ে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করে কৃষির সাথেসংশি¬ষ্টলোকজন ছাড়াও সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছেন তিনি।উপজেলায় মোট উৎপাদিতশাকসবজির উলে¬খযোগ্য একটা অংশউৎপাদনকরেন আবুসাঈদ।
বছরের এমন কোন দিন নেই যে দিন তার সবজি বাগান থেকে কমপক্ষে ১মেট্রিকটন শাকসবজি বিভিন্ন আড়তে পাঠানো হয় না।তিনি বারমাসী চাষি নামেও এলাকায় পরিচিত লাভকরেছেন।এবছর তিনি উন্নতজাতের টমেটো উৎপাদনকরেছেন প্রায় ১শ বিশমেট্রিকটন, বাঁধাকপি উৎপাদিতহয়েছে প্রায় ১ লক্ষএবং ফুলকপি ৫০ হাজার টি।মাত্র ২/৩ বিঘা পতিত পৈত্রিক জমিতে তিনি ১ যুগ আগে শাকসবজিরচাষাবাদ শুরু করেন।বর্তমানে ওই এলাকায় অন্যের পতিত জমি লিজ নিয়ে শাকসবজিচাষাবাদের জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০/৩৫ বিঘায়।এমন কোন শাকসবজি নেই যা তিনি চাষাবাদ করেননা।যেমনÑ শীত লাউ, মিষ্টি কুমড়া, শশা, পেঁপে, চিচিঙ্গা, পটল, টমেটো, করলা, শিম, ডাঁটা, পুঁইশাক, লাল শাক, পালংশাক, ঢেঁড়শ, কলাসহ হরেক রকমের শাকসবজি।প্রতি দিন তাঁর সবজিবাগানে ২০/২৫ জন নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করেন।সফল কৃষক মাও. মোঃ আবু সাঈদের কাছ থেকে নিজগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর শতাধিক কৃষক হাতে-কলমে শিক্ষা নিয়েছেন এবং কৃষিক্ষেত্রে পেয়েছেন সফলতা।
১৯৯৬ সালে কৃষক পিতার কাছে শিক্ষা নিয়ে শুরু করেন কৃষিকাজ। সেই যেতাঁর পথ চলা শুরু। আর ফিরে তাকাতে হয়নি।কঠোর পরিশ্রম, সততা আর কর্মনিষ্ঠাইতাঁকে এনে দিয়েছে এ সফলতা। শুধু শাকসবজি বিক্রি করে আবু সাঈদের বাৎসরিকআয় ৭/৮ লাখ টাকা। তিনি বহু লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকরেছেন। এলাকার বেকার যুবকরা তাঁর কথা ও কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে কৃষিরপ্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। দূর হচ্ছে বেকারত্ব।
-ইজাজ আহমেদমিলন, গাজীপুর |
In : সফলতা,স্বাবলম্বী