পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে হোসনে আরার সাফল্য

বীজ সংরক্ষরণের ক্ষেত্রে এ দেশে নারীরাই গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রেখে আসছেতবে মূল্যবান পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনেখোকসার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মালিগ্রামের শুকুর আলীর স্ত্রীহোসনে আরা খাতুন এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন১৯৮৯ সালে বিয়ের পর স্বামীর সাথে পরামর্শ করেতিনি ২৫ শতাংশ জমি নিয়ে পেঁয়াজের বীজ চাষ শুরু করেনঅনুকূল আবহাওয়ায়বাম্পার ফলনও পেয়ে যানতারপর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি
চলতি বছরে তিনি ৬ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনেরজন্য মূল কাটা পেঁয়াজ রোপণ করেছেনহোসনে আরাজানান, ১০/১২ বার চাষ দিয়ে ভালভাবে জমি তৈরি করে অগ্রহায়ণ মাসেরশুরুতেই বীজ বপন করেন তিনিপ্রতি বিঘা জমিতে ৫-৬ মণ বাছাই করা পেঁয়াজ রোপণকরেনতারপর ২ বার সেচ, ২ বার নিড়ানী এবং প্রয়োজনমত সারদেনস্বামীকে নিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময় ব্য¯- থাকেন জমি পরিচর্যায়বীজ ১০০% অংকুরোদগম নিশ্চিত করতে এবং বীজেরসঠিক পরাগায়ণ যাতে হয় সেজন্য জমিতে মৌমাছির চাষ শুরু করেছেন তিনিবীজের সফল সংরক্ষণ ওপরিচর্যায় তিনি চৈত্র মাসের শেষ দিকে দুপুর ১২ টার আগে জমি থেকে ফুল সংগ্রহকরেনএরপর তা ৩-৪ দিন রোদে শুকিয়ে ফুল থেকে বীজ ছড়ানতিনিজানান, বীজ উৎপাদনেতাদের বিঘাপ্রতিখরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকাআর প্রতিবিঘা জমি থেকে প্রায় দেড়মণ বীজ উৎপাদনহয় যার মূল্য প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকাতার উৎপাদিতবীজের চাহিদা রয়েছে রাজবাড়ি, বালিয়াকান্দি, আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালী, পাংশা, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, মিরপুর, ঝিনাইদহের শৈলকুপাসহবিভিন্ন জায়গায়
এসব কাজে সরকারি বা বেসরকারিভাবে এখন পর্যš- কোন সাহায্যসহযোগিতা পাননি তিনিতার স্বপ্ন, সরকারি বা বেসরকারিভাবে সহযোগিতা নিয়েপেঁয়াজের বীজ ছাড়াও অন্যান্য বীজ উৎপাদনও সংরক্ষণ করে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকারাখা
 
-ফারুক আহমেদ, কুষ্টিয়া