পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে হোসনে আরার সাফল্য
Posted by Nurjahan Chowdhury on Tuesday, December 22, 2009
Under: বীজ
পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে হোসনে আরার সাফল্য
বীজ সংরক্ষরণের ক্ষেত্রে এ দেশে নারীরাই গুরুত্বপূর্ণভূমিকা রেখে আসছে।তবে মূল্যবান পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনেখোকসার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মালিগ্রামের শুকুর আলীর স্ত্রীহোসনে আরা খাতুন এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন।১৯৮৯ সালে বিয়ের পর স্বামীর সাথে পরামর্শ করেতিনি ২৫ শতাংশ জমি নিয়ে পেঁয়াজের বীজ চাষ শুরু করেন।অনুকূল আবহাওয়ায়বাম্পার ফলনও পেয়ে যান।তারপর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। চলতি বছরে তিনি ৬ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনেরজন্য মূল কাটা পেঁয়াজ রোপণ করেছেন।হোসনে আরাজানান, ১০/১২ বার চাষ দিয়ে ভালভাবে জমি তৈরি করে অগ্রহায়ণ মাসেরশুরুতেই বীজ বপন করেন তিনি।প্রতি বিঘা জমিতে ৫-৬ মণ বাছাই করা পেঁয়াজ রোপণকরেন।তারপর ২ বার সেচ, ২ বার নিড়ানী এবং প্রয়োজনমত সারদেন।স্বামীকে নিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময় ব্য¯- থাকেন জমি পরিচর্যায়।বীজ ১০০% অংকুরোদগম নিশ্চিত করতে এবং বীজেরসঠিক পরাগায়ণ যাতে হয় সেজন্য জমিতে মৌমাছির চাষ শুরু করেছেন তিনি।বীজের সফল সংরক্ষণ ওপরিচর্যায় তিনি চৈত্র মাসের শেষ দিকে দুপুর ১২ টার আগে জমি থেকে ফুল সংগ্রহকরেন।এরপর তা ৩-৪ দিন রোদে শুকিয়ে ফুল থেকে বীজ ছড়ান।তিনিজানান, বীজ উৎপাদনেতাদের বিঘাপ্রতিখরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।আর প্রতিবিঘা জমি থেকে প্রায় দেড়মণ বীজ উৎপাদনহয় যার মূল্য প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা।তার উৎপাদিতবীজের চাহিদা রয়েছে রাজবাড়ি, বালিয়াকান্দি, আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালী, পাংশা, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, মিরপুর, ঝিনাইদহের শৈলকুপাসহবিভিন্ন জায়গায়।
এসব কাজে সরকারি বা বেসরকারিভাবে এখন পর্যš- কোন সাহায্যসহযোগিতা পাননি তিনি।তার স্বপ্ন, সরকারি বা বেসরকারিভাবে সহযোগিতা নিয়েপেঁয়াজের বীজ ছাড়াও অন্যান্য বীজ উৎপাদনও সংরক্ষণ করে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকারাখা।
-ফারুক আহমেদ, কুষ্টিয়া |
In : বীজ