বৃক্ষ রোপণে স্বাবলম্বী
Posted by Salim on Sunday, December 20, 2009
Under: সফলতা,স্বাবলম্বী
বৃক্ষ রোপণে স্বাবলম্বী
।।ইত্তেফাক রিপোর্ট।
জীবন বাঁচাতে বৃক্ষ, জীবনকে সাজাতে বৃক্ষ, এটি চিরসত্য।বৃক্ষ রোপণ করে জীবনসাজিয়েছে কুষ্টিয়ার বেকার যুবক, স্বল্প আয়ের মানুষেরা।তারা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশিস্বাবলম্বী।গাছ বিক্রি করে আয় করছেন প্রচুর।গাছের পরিচর্যা করতেওকাজে লাগিয়েছেন লোকজন।তাদেরকে মাসিক বেতনও দেয়া হয়।যদিও শুরুতে এ নিয়ে খুবএকটা উৎসাহছিল নাগ্রামবাসীর।অনেকেই বলত, গাছ লাগিয়ে কী হবে? সেটা ’৮০র দশকের শুরুরকথা।পরেচোখের সামনে সাফল্যের উদাহরণ তাদের অনুপ্রাণিত করে এবং তারা ভালবাসতে শুরু করেগাছকে।বৃক্ষমঙ্গলের কথা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।তারপর তা ব্যক্তি উদ্যোগথেকে ছড়িয়ে পড়ে সম্মিলিত উদ্যোগে।গঠিত হয় সমবায় সমিতি।কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেকইউপি চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন জিকে খালের পাশে দাঁড়িয়ে সবিস্তারে বর্ণনা করলেনএখানকার বনায়ন কর্মসূচির কথা।মানুষের স্বাবলম্বী হওয়ার কথা।তা শুনে যে কারো মনে হবেতিনি শুধু গাছের কথাই বলছেন না, রীতিমত বৃক্ষবন্দনা করে চলেছেন।
লালনশাহ ব্রিজ থেকে শুরু করলে দুই পারেই দেখা যাবে রাস্তারদুই দিকে ঘন গাছের বন।হাইওয়ের ক্লান্তি মুছে দিয়ে শ্রান্তির হাওয়ায় মন জুড়েযায়।দৃশ্যদৃষ্টিনন্দনও বটে।সবুজ-শ্যামলিমায় মুগ্ধ হন এমন পর্যটকও থমকে দাঁড়াবেন বনরাজিরমধ্যে।একইঅবস্থা জিকে খালের দুই পাশেও।দূর থেকে মনে হবে সবুজের গুহায় ঢুকে পড়ছে গাড়ি।সরকারের বনায়নকর্মসূচিকে গুরুত্ব দিয়ে বৃক্ষ রোপণের এই কাজটিতে সহায়তা করেছে বৃটিশ আমেরিকানটোব্যাকো বাংলাদেশ।কোম্পানিটি বিনামূল্যে গাছের চারা দিয়েছে।আর সমবায় সমিতির মাধ্যমেএলাকাভিত্তিক তা রোপণ এবং পরিচর্যার ব্যবস্থা করেছে।কোম্পানির কর্মকর্তাফয়েজ আলী জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে কোম্পানি বিনামূল্যে চারাবিতরণ করেছে।পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি এখন নিয়মিত কর্মসূচিতেপরিণত হয়েছে।জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশের পরিবেশের যে হুমকি তারোধে গাছ লাগান কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
রানাকুড়িয়া থেকে বারোখাদা রাস্তার দুই পাশেই গাছ লাগিয়ে আয়করেছে এখানকার সবুজসাথী সমাজকল্যাণ সংস্থার সদস্যরা।১৬৬ জন সদস্য রয়েছে এইসংস্থায়।সরকারের কাছ থেকে লীজ নিয়েই সমিতি রাস্তায় গাছলাগিয়েছে।বিনিময়ে সরকারকে ৪০ ভাগ রাজস্বও দিচ্ছে।
ঝিনাইদহে আলমডাঙ্গার প্রধান খালের দুই পাশ এক সময় ছিলফাঁকা।এখনবৃক্ষরাজি শোভিত এক দৃষ্টিনন্দন অরণ্যে রূপ নিয়েছে।এই খালের দুই পাশেওবিভিন্ন সমিতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়ে গাছ লাগিয়েছে।ঝিনাইদহের বেড়বাড়ির একটিসমিতি চাঁদপুর কৃষক সমবায় সমিতি।এর সাধারণ সম্পাদক মফিজউদ্দিন বললেন গাছ বিক্রির আয়েরকথা।
সমিতির কর্মকর্তারা জানান, শুধুমাত্র আয়ের বিষয়টিই মুখ্য নয়।বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকোসামাজিক দায়বদ্ধতার কারণে এই কর্মসূচি নিয়েছে।বনায়নের জন্য ৫ বার জাতীয় পর্যায়ে শীর্ষপুরস্কারও লাভ করেছে কোম্পানিটি।একইভাবে দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবেই এই বনায়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপেয়েছে ঔষধি গাছও।বিলুপ্তপ্রায় ঔষধি গাছ সংগ্রহ করে এসব স্থানে লাগানোহয়েছে। |
In : সফলতা,স্বাবলম্বী